হাইপোসপেডিয়াস কেন হয় ?

Hyperspadias একটি জন্মগত অবস্থা। এটি একটি জন্মগত ত্রুটি যা মূলত পুরুষদের হয়। এটি ঘটে যখন মূত্রনালীর (urethra) খোলা অংশটি লিঙ্গের ডগায় স্বাভাবিক অবস্থানের পরিবর্তে নিচে অবস্থান করে।

​এখনও পর্যন্ত হাইপোসপেডিয়াস কেন হয় তার সঠিক কারণ জানা যায়নি, তবে কিছু কারণ এর জন্য দায়ী হতে পারে বলে মনে করা হয়। সাধারণত, গর্ভধারণের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভ্রূণের বিকাশের সময় এটি ঘটে।

​হাইপোসপেডিয়াসের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিচে দেওয়া হলো:

​১. জেনেটিক কারণ: এই অবস্থার সঙ্গে কিছু জিনের সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের মধ্যে এটি থাকে, তাহলে শিশুটির হাইপোসপেডিয়াস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

​২. হরমোনজনিত কারণ: গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মূত্রনালীর বিকাশের জন্য নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের প্রয়োজন হয়। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা উৎপাদনে কোনো সমস্যা হলে হাইপোসপেডিয়াস হতে পারে।

​৩. পরিবেশগত কারণ: গর্ভাবস্থায় মা কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে এলে এটি ঘটতে পারে। কীটনাশক বা শিল্প-রাসায়নিক পদার্থ এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

​৪. মায়ের বয়স: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব মায়ের বয়স বেশি বিশেষ করে ৩৫ বছরের বেশি তাদের সন্তানদের হাইপোসপেডিয়াস হওয়ার ঝুঁকি সামান্য বেশি থাকে।

​৫. ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF): যেসব শিশুর ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) এর মাধ্যমে জন্ম হয়, তাদের মধ্যে এই অবস্থা দেখা যাওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।

​সাধারণত, এই অবস্থাটি হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব।

 

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম

এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী) 

মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি

পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)

ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)

শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ  

সহকারী অধ্যাপক 

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।

Hotline: 01777331511

www.drnazmulislam.com

 

চেম্বারঃ 

অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড

২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)

শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।

(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

 

 

 

হাইপোসপেডিয়াস নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ‼️

✅️১. হাইপোসপেডিয়াস আসলে কি?

হাইপোসপেডিয়াস হল একটি জন্মগত ত্রুটি (congenital condition) যা শুধুমাত্র ছেলেশিশুর হয়। এই অবস্থায় মূত্রনালীর (urethra) মুখটি শিশ্নের (penis) নিচের দিকে অস্বাভাবিক জায়গায় অবস্থান করে।

· স্বাভাবিক অবস্থায়: মূত্রনালীর মুখটি শিশ্নের মাথার (glans) ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান করে।
· হাইপোসপেডিয়াসে: এই মুখটি নিচের দিকে যেকোন যায়গায় হতে পারে — মাথার নিচের দিক থেকে শুরু করে শিশ্নের দণ্ড (shaft) বরাবর,অণ্ডকোষ (scrotum) বা পায়ুপথের(perineum) এর কাছাকাছিও হতে পারে।

এটি শুধু মূত্রনালীর মুখের অবস্থানের সমস্যা নয়, এর সাথে আরও দুটি বিষয় জড়িত থাকে:

  1. চামড়ার বক্রতা (Chordee): শিশ্নটি নিচের দিকে বাকা হয়ে থাকতে পারে।

2. অসামঞ্জস্য ভাবে ছড়ানো prepuce: foreskin উপরের দিকে বেশি থাকায় নিচের দিকে দেখা যায় চামড়া নেই।

✅️২. এটি কি খুব কমন?

হ্যাঁ, হাইপোসপেডিয়াস একটি relatively common জন্মগত ত্রুটি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০টি জীবিত ছেলেশিশুর জন্মে ১টির এই সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ, এটি মোটেও অত্যন্ত বিরল কোন অবস্থা নয়।


✅️৩. এটি ছেলেশিশুরই হয় নাকি মেয়েশিশুরও হতে পারে?

হাইপোসপেডিয়াস শুধুমাত্র ছেলেশিশুর হয়। মেয়েশিশুর এই সমস্যা হয় না।
তবে কেউ কেউ urogenital Sinus Anomaly কে Female Hypospadias বলে থাকে।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস, এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

শিশুসার্জন #শিশুসার্জারি #শিশু_ইউরোলজি

day_care_surgery #best_pediatric_surgeon #Hypospadiascare

nazmul #হাইপোসপেডিয়াস #শিশুহাসপাতাল#congenitalঅনমালি

drnazmul #ডাঃ_নাজমুল#Hypospadias

www.hypospadiascare.com

হাইপাসপেডিয়াস

শিশু ইউরোলোজি

শিশুদের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা

শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা যেতে পারে, যা জন্মগত বা পরবর্তীকালে যেকোনো সময়েও হতে পারে। এই সমস্যাগুলো শিশুদের মূত্রতন্ত্র এবং প্রজননতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। সময়মতো সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হলে অনেক জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

শিশুদের প্রধান কিছু ইউরোলজিক্যাল সমস্যা
শিশুদের ইউরোলজিক্যাল সমস্যাগুলোর মধ্যে কিছু সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিচে দেওয়া হলো।

১. হাইড্রোনেফ্রোসিস (Hydronephrosis)
এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে কিডনিতে মূত্র জমা হওয়ার কারণে কিডনি ফুলে যায়। এর কারণ হতে পারে মূত্রনালীর কোনো ব্লক বা প্রস্রাবের উল্টো প্রবাহ (Vesicoureteral Reflux)। এটি জন্মগতও হতে পারে এবং প্রায়শই গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার লাগতে পারে।

২. ভেসিকোউরেটেরাল রিফ্লাক্স (Vesicoureteral Reflux – VUR)
এই অবস্থায় মূত্রথলি থেকে প্রস্রাব উল্টো পথে কিডনিতে ফিরে যায়। এর ফলে কিডনিতে সংক্রমণ এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। এটি প্রায়শই মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণ হয়। এর তীব্রতা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়।

৩. ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary Tract Infection – UTI)
শিশুদের মধ্যে মূত্রনালীর সংক্রমণ বেশ সাধারণ। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। এর উপসর্গগুলো হলো জ্বর, পেটে ব্যথা, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। সময়মতো অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করা জরুরি, কারণ সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতি হতে পারে।

৪. আনডিসেন্ডেড টেস্টিস (Undescended Testes – Cryptorchidism)
এই অবস্থায় শিশুর অণ্ডকোষ জন্মের আগে অণ্ডথলিতে নেমে আসে না। এটি সাধারণত জন্মের প্রথম বছরের মধ্যে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। তবে, যদি তা না হয়, তবে এক বছর বয়সের মধ্যে অস্ত্রোপচার (Orchiopexy) করা প্রয়োজন, কারণ এটি ভবিষ্যতে প্রজনন ক্ষমতা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. হাইপোসপাডিয়াস (Hypospadias)
এটি একটি জন্মগত ত্রুটি যেখানে ছেলেদের মূত্রনালীর মুখ লিঙ্গের ডগায় না থেকে নিচের দিকে থাকে। এর কারণে প্রস্রাব করতে অসুবিধা হয়। এটি সাধারণত এক থেকে দুই বছর বয়সের মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা হয়।

৬. ফাইমোসিস এবং প্যারাফাইমোসিস (Phimosis and Paraphimosis)

  • ফাইমোসিস: এই অবস্থায় লিঙ্গের মাথার দিকের চামড়াটি সম্পূর্ণভাবে পেছনে সরানো যায় না। এটি ছোট শিশুদের মধ্যে সাধারণ এবং সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে যদি প্রস্রাব করতে অসুবিধা হয় বা সংক্রমণ দেখা দেয়, তবে এর চিকিৎসার জন্য ক্রিম বা অস্ত্রোপচার (circumcision) করা হয়।
  • প্যারাফাইমোসিস: এটি একটি জরুরি অবস্থা যেখানে চামড়াটি পেছনে সরানোর পর আর সামনে আনা যায় না, ফলে লিঙ্গের মাথায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

🔰 কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?

শিশুর মধ্যে যদি নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে একজন শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ বা শিশু ইউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত:

  • ঘন ঘন জ্বর, যার কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া।
  • পেটে বা পিঠে ব্যথা।
  • অস্বাভাবিক রঙের বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব।
  • প্রসাবে রক্ত দেখা যাওয়া।
  • অণ্ডথলিতে কোনো অস্বাভাবিকতা বা ফোলা দেখা যাওয়া।
    শিশুদের ইউরোলজিক্যাল সমস্যাগুলো দ্রুত শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা করানো গেলে অনেক দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস, এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

শিশুর পেটে কৃমি: কখন অপারেশন লাগতে পারে

শিশুর পেটের কৃমি কখন ভয়ংকর

শিশুর পেটে কৃমির সাধারণ চিকিৎসা হলো *ওষুধ (অ্যান্টিহেলমিন্থিক)* যেমন অ্যালবেন্ডাজোল বা মেবেন্ডাজোল। তবে কিছু জটিল ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) প্রয়োজন হতে পারে, যেমন:

### *কখন অপারেশন লাগতে পারে?*

*অন্ত্রে ব্লকেজ (Intestinal Obstruction):*

– যদি কৃমি (বিশেষ করে গোলকৃমি/Roundworm) এত বেশি সংখ্যায় জমে যে অন্ত্র আটকে যায়, তাহলে জরুরি অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে।

*অ্যাপেন্ডিসাইটিসের মতো লক্ষণ (কৃমি দ্বারা অ্যাপেনডিক্স বন্ধ):*

– কৃমি অ্যাপেন্ডিক্সে ঢুকে ইনফেকশন বা ব্লকেজ সৃষ্টি করলে অপারেশন লাগতে পারে।

*পিত্তনালীতে কৃমি (Biliary Ascariasis):*

– কৃমি পিত্তনালী বা লিভারে ঢুকলে জন্ডিস, তীব্র ব্যথা বা ইনফেকশন হতে পারে, তখন অপারেশন বা এন্ডোস্কোপিক অপসারণ প্রয়োজন।

*অন্ত্র ফুটো (Perforation) বা গ্যাংগ্রিন:*

– কৃমির কারণে অন্ত্রে ফুটো বা রক্তক্ষরণ হলে জরুরি সার্জারি দরকার।

### *লক্ষণ যা জরুরি চিকিৎসা নির্দেশ করে:*

তীব্র পেটে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া
অবিরাম বমি (বিশেষ করে সবুজ বা পিত্তবমি)
মলে রক্ত বা কালো পায়খানা
জ্বর ও পেট শক্ত হয়ে যাওয়া
দুর্বলতা বা শক (রক্তচাপ কমে যাওয়া)


### *প্রতিকার:*

নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ান (বছরে ২ বার)।
স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
কাঁচা সবজি/ফল ভালোভাবে ধুয়ে খান।


*দ্রষ্টব্য:* শিশুর তীব্র লক্ষণ দেখা দিলে *অবিলম্বে ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন*। সাধারণত কৃমির সমস্যা ওষুধে সেরে যায়, কিন্তু জটিল ক্ষেত্রে অপারেশনই শেষ উপায়।


ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস, এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

 

শিশুর কম ঘুম

শিশুর ঘুম কম হওয়ার কারণ

শিশুর ঘুম কম হওয়ার পিছনে বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও পরিবেশগত কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ নিম্নরূপ:

✅️ *১. শারীরিক কারণ:*

– *ক্ষুধা:* নবজাতক বা ছোট শিশুরা প্রায়ই ক্ষুধার কারণে ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
– *পেটের সমস্যা:* গ্যাস, কোলিক, রিফ্লাক্স বা কোষ্ঠকাঠিন্য ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
– *দাঁত ওঠা:* মাড়ি ব্যথা শিশুর ঘুম কমিয়ে দিতে পারে।
– *জ্বর/সর্দি-কাশি:* শারীরিক অসুস্থতা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
– *ভিটামিন বা মিনারেলের ঘাটতি:* যেমন আয়রন বা ভিটামিন ডি-এর অভাব।

✅️ *২. মানসিক ও বিকাশগত কারণ:*

– *বৃদ্ধি ও বিকাশের পর্যায়:* শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের সময় ঘুমের প্যাটার্ন পরিবর্তন হতে পারে।
– *আবেগজনিত সমস্যা:* উদ্বেগ, ভয় বা অতিরিক্ত উত্তেজনা (যেমন নতুন কিছু শেখা) ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
– *অ্যাটেনশন সিকিং:* কিছু শিশু বেশি মনোযোগ পেতে রাতে জেগে থাকতে চায়।

✅️ *৩. পরিবেশগত কারণ:*

– *অতিরিক্ত গরম/ঠান্ডা:* অস্বস্তিকর তাপমাত্রা ঘুমে সমস্যা তৈরি করে।
– *আলো-শব্দ:* অতিরিক্ত আলো বা শোরগোল শিশুর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
– *অস্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন:* অনিয়মিত ঘুমের সময় বা রাত জাগার অভ্যাস।

✅️ *৪. অভ্যাসগত কারণ:*

– *দুধ বা দুধের বোতলের উপর নির্ভরতা:* কিছু শিশু ঘুমানোর জন্য দুধ/বোতলের উপর নির্ভরশীল হয়, যা ঘন ঘন জাগার কারণ হতে পারে।
– *মায়ের সঙ্গে বেশি নির্ভরতা:* কোলে বা বুকে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে স্বাধীনভাবে ঘুমানো কঠিন হতে পারে।

⭕️ *কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?*

– যদি শিশু *অতিরিক্ত কান্না করে, **ওজন না বাড়ে, বা **শ্বাসকষ্ট* দেখা দেয়।
– ঘুমের সমস্যা *দীর্ঘদিন* চলতে থাকলে।
– শিশু *অস্বাভাবিকভাবে নিস্তেজ* বা *খুব বেশি বিরক্ত* হলে।

⭕️ *সমাধানের কিছু উপায়:*
– *নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন* (যেমন গোসল, গল্প বলা, হালকা ম্যাসাজ)।
– *শোবার ঘর শান্ত, অন্ধকার ও আরামদায়ক রাখুন*।
– *দিনের বেলা পর্যাপ্ত শারীরিক activity রাখুন* (যেমন খেলা, হাঁটা)।
– *রাতে ভারী খাবার বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন* (বড় শিশুদের ক্ষেত্রে)।

শিশুর ঘুমের সমস্যা সাধারণত বয়সের সাথে কমে যায়, তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং (ইন্ডিয়া)
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

#ঘুম #শিশু #যত্ন #drnazmul #ডাঃ_নাজমুল
#শিশু_সার্জন #শিশু_সার্জারি #শিশু_ইউরোলজি

শিশুর জিহবার জন্মগত সমস্যা

শিশুর জিহবার জন্মগত সমস্যা

শিশুর জিহ্বার জন্মগত সমস্যা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেগুলো সাধারণত গর্ভাবস্থায় বিকাশের সময় ঘটে। এগুলো জিহ্বার গঠন, আকার বা কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু সাধারণ জন্মগত জিহ্বার সমস্যা নিচে দেওয়া হলো:


১. জিহ্বা বাঁধা (Tongue-Tie বা Ankyloglossia)

  • বর্ণনা:
    জিহ্বার নিচের ফ্রেনুলাম (তন্তুময় টিস্যু) অতিরিক্ত শক্ত বা ছোট হওয়ায় জিহ্বা স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করতে পারে না।
  • লক্ষণ:
  • বুকের দুধ টানতে সমস্যা (শিশু ঠিকমতো চুষতে পারে না)।
  • বড় হলে কথা বলতে বা জিহ্বা বাইরে বের করতে অসুবিধা।
  • চিকিৎসা:
  • ফ্রেনোটমি: একটি ছোট সার্জারি করে ফ্রেনুলাম কাটা হয় (সাধারণত লেজার বা ডায়াথারমি দিয়ে)।
  • ব্যায়াম থেরাপি (জিহ্বার নড়াচড়া বাড়ানোর জন্য)।

২. ম্যাক্রোগ্লোসিয়া (বড় জিহ্বা, Macroglossia)

  • বর্ণনা:
    জিহ্বা স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়, যা মুখের গঠন বা শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • কারণ:
  • জেনেটিক ডিসঅর্ডার (যেমন: ডাউন সিনড্রোম, বেকউইথ-ভাইডেম্যান সিনড্রোম)।
  • জন্মগত অস্বাভাবিকতা।
  • লক্ষণ:
  • মুখ সব সময় খোলা থাকা, লালা পড়া।
  • খাওয়া বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট।
  • চিকিৎসা:
  • গুরুতর ক্ষেত্রে জিহ্বা ছোট করার অপারেশন (গ্লোসেক্টমি)।
  • স্পিচ থেরাপি বা অরথোডন্টিক চিকিৎসা (দাঁতের গঠন ঠিক করতে)।

৩. মাইক্রোগ্লোসিয়া (ছোট জিহ্বা, Microglossia)

  • বর্ণনা:
    জিহ্বা অস্বাভাবিকভাবে ছোট বা অনুন্নত হয়।
  • সমস্যা:
  • খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা।
  • চোয়ালের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
  • চিকিৎসা:
  • স্পিচ থেরাপি ও ফিজিক্যাল থেরাপি।
  • কিছু ক্ষেত্রে রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি।

৪. জিহ্বার বিভাজন (Bifid Tongue বা Forked Tongue)

  • বর্ণনা:
    জিহ্বার আগা দুটি ভাগে বিভক্ত (সাপের জিহ্বার মতো)।
  • কারণ:
  • জেনেটিক মিউটেশন বা নির্দিষ্ট সিনড্রোম (যেমন: অরোফেসিয়াল ডিজিজ)।
  • চিকিৎসা:
  • সাধারণত সমস্যা না করলে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
  • কথা বলতে বা খেতে সমস্যা হলে প্লাস্টিক সার্জারি করা যেতে পারে।

৫. জিহ্বার গঠনগত বিকৃতি (Hypoglossia/Ag lossia)

  • বর্ণনা:
    জিহ্বা আংশিক বা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
  • সমস্যা:
  • শ্বাসনালী বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি, খাওয়ায় অসুবিধা।
  • চিকিৎসা:
  • বিশেষায়িত নিওনেটাল কেয়ার ও সার্জারি।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

  • শিশু বুকের দুধ টানতে না পারলে বা ওজন না বাড়লে।
  • জিহ্বা নীল বা সাদা হয়ে গেলে (অক্সিজেনের অভাব)।
  • শ্বাস নিতে কষ্ট বা মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া।
  • জিহ্বা অতিরিক্ত বড়/ছোট বা বিভক্ত দেখালে।

প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা

  • জন্মপূর্ব যত্ন: গর্ভাবস্থায় ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।
  • শিশুর মুখ পরীক্ষা: জন্মের পর জিহ্বা, তালু ইত্যাদি পরীক্ষা করা।

জন্মগত জিহ্বার সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে চিকিৎসা সহজ হয়, তাই সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস, এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511

হাইড্রোসিল (Hydrocele)

অন্ডকোষে কেন পানি জমে?

অন্ডকোষে পানি জমাকে হাইড্রোসিল (Hydrocele) বলা হয়। এটি সাধারণত একটি ব্যথাহীন অবস্থা, যেখানে অন্ডকোষের চারপাশে স্বচ্ছ তরল জমে এবং ফুলে যায়। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে হতে পারে।

হাইড্রোসিলের প্রধান কারণগুলো :

হাইড্রোসিল (Hydrocele) হওয়ার প্রধান কারণগুলো বয়সভেদে ভিন্ন হয়। এটি সাধারণত অন্ডকোষের চারপাশে সেরাস ফ্লুইড জমার কারণে হয়, যা ব্যথাহীন ফোলাভাব সৃষ্টি করে।

১. শিশুদের হাইড্রোসিলের কারণ:

  • প্রোসেসাস ভ্যাজাইনালিস-এর বন্ধ না হওয়া:
  • গর্ভাবস্থায় অন্ডকোষ পেটের ভিতরে থাকে এবং পরে স্ক্রোটামে নেমে আসে। এই প্রক্রিয়ায় একটি টিউনেল (প্রোসেসাস ভ্যাজাইনালিস) থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে জন্মের পর বন্ধ হয়ে যায়।
  • যদি এটি সম্পূর্ণ বন্ধ না হয়, তবে পেটের তরল স্ক্রোটামে চলে এসে হাইড্রোসিল তৈরি করে।
  • ৯০% ক্ষেত্রে এটি ১-২ বছরের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়

২. প্রাপ্তবয়স্কদের হাইড্রোসিলের কারণ:

  • আঘাত বা ইনফেকশন:
  • অন্ডকোষে আঘাত, সংক্রমণ (এপিডিডাইমাইটিস, অর্কাইটিস) বা অস্ত্রোপচারের পর তরল উৎপাদন বেড়ে গেলে।
  • অন্ডকোষ বা স্ক্রোটামের রোগ:
  • টেস্টিকুলার টিউমার, ভ্যারিকোসিল বা হার্নিয়ার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
  • ফাইলেরিয়াসিস বা অন্যান্য পরজীবী সংক্রমণে লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ বাধাগ্রস্ত হলে।
  • অজানা কারণ (Idiopathic):
  • অনেক ক্ষেত্রে সঠিক কারণ জানা যায় না, বিশেষত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে।

ঝুঁকির факরগুলো:

  • বাচ্চাদের মধ্যে: প্রিম্যাচিউর বেবি বা কম ওজনের শিশুদের বেশি দেখা যায়।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে:
  • স্ক্রোটাল ইনজুরি বা সার্জারি।
  • যৌনবাহিত সংক্রমণ (STI) বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।
  • ট্রপিক্যাল দেশে ফাইলেরিয়াসিসের সংস্পর্শ।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

  • ফোলা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে বা ব্যথা হলে।
  • স্ক্রোটাম লাল, গরম বা জ্বর আসলে (সংক্রমণের লক্ষণ)।
  • অন্ডকোষ শক্ত বা ভারী মনে হলে (টিউমার রুল আউট করার জন্য)।

হাইড্রোসিল সাধারণত *বিপজ্জনক নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বস্তিকর হলে *সার্জারি (Hydrocelectomy) প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক ডায়াগনোসিসের জন্য শিশু ইউরোলজিস্ট-এর শরণাপন্ন হোন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511

বাঁকা লিঙ্গ (Penile Curvature বা Curved Penis)

বাঁকা লিঙ্গ (Penile Curvature বা Curved Penis)

বাঁকা লিঙ্গ (Penile Curvature বা Curved Penis)* বলতে লিঙ্গের স্বাভাবিক সোজা আকৃতির পরিবর্তে এক বা একাধিক দিকে (উপর, নিচ, ডান বা বামে) বেঁকে যাওয়াকে বোঝায়। এটি ইরেকশন (শিশ্নোত্থান) এর সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে।

বাঁকা লিঙ্গের প্রকারভেদ:

  1. জন্মগত বাঁকা লিঙ্গ (Congenital Curvature):
  • জন্ম থেকেই উপস্থিত, সাধারণত কর্ডি (Chordee) বা হাইপোস্পেডিয়াস (Hypospadias) এর সাথে সম্পর্কিত।
  • ইরেকশনে বাঁকা হয়, কিন্তু সাধারণত ব্যথা থাকে না।
  1. অর্জিত বাঁকা লিঙ্গ (Acquired Curvature):
  • পেয়রোনি রোগ (Peyronie’s Disease) প্রধান কারণ, যেখানে লিঙ্গের ভেতরে অস্বাভাবিক ফাইব্রোস টিস্যু (স্কার টিস্যু) জমে।
  • ইরেকশনে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
  • আঘাত, বারবার মাইক্রোট্রমা বা বয়সের সাথে সম্পর্কিত।

বাঁকা লিঙ্গের দিক:

  • ডরসাল কার্ভ (উপরের দিকে বাঁকা)
  • ভেন্ট্রাল কার্ভ (নিচের দিকে বাঁকা)
  • ল্যাটারাল কার্ভ (ডান বা বামে বাঁকা)

*কারণ:*

শিশুদের লিঙ্গে বাঁকা ভাব (Congenital Penile Curvature বা Chordee) দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত *জন্মগত ত্রুটি* বা বিকাশগত সমস্যার কারণে হয়। এর প্রধান কারণগুলো নিম্নরূপ:

### ১. *জন্মগত বাঁকা লিঙ্গ (Congenital Penile Curvature)*
– কিছু শিশুর *জন্ম থেকেই* লিঙ্গের গঠনগত ত্রুটি থাকে, যেখানে লিঙ্গের নিচের দিকের চামড়া বা টিস্যু স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট বা টাইট হয়ে বাঁকা ভাব তৈরি করে।
– এটি *হাইপোস্পেডিয়াস (Hypospadias)* নামক অবস্থার সাথে যুক্ত হতে পারে (যেখানে মূত্রনালীর মুখ স্বাভাবিক স্থানের বদলে নিচে থাকে)।

### ২. *কর্ডি (Chordee)*
– এটি একটি জন্মগত সমস্যা, যেখানে লিঙ্গের নিচে টিস্যু বা তন্তু (ফাইব্রাস টিস্যু) টানটান হয়ে বাঁকা করে দেয়।
– কর্ডি *হাইপোস্পেডিয়াস ছাড়াও* স্বতন্ত্রভাবে হতে পারে।

### ৩. *টিস্যু বা পেশীর অস্বাভাবিক বিকাশ*
– লিঙ্গের একপাশের টিস্যু বা কর্পোরা ক্যাভারনোসা (ইরেক্টাইল টিস্যু) ঠিক মতো বিকাশ না হলে বাঁকা ভাব দেখা দিতে পারে।

৪. *স্কার টিস্যু বা আঘাত (দুর্লভ ক্ষেত্রে)*
– জন্মের সময় বা পরে কোনো আঘাতের কারণে লিঙ্গে স্কার টিস্যু জমে বাঁকা হতে পারে (তবে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল)।

*কখন চিকিৎসা প্রয়োজন?*
– যদি বাঁকা ভাব *এতটাই বেশি হয় যে প্রস্রাবের প্রবাহে সমস্যা হয়*।
– যদি বাচ্চার *ইরেকশন (শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ঘটনা) এর সময় ব্যথা বা অস্বস্তি হয়*।
– হাইপোস্পেডিয়াস বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ত্রুটি থাকলে।

### *চিকিৎসা পদ্ধতি*
– *হালকা ক্ষেত্রে:* পর্যবেক্ষণ করা হয়, কারণ কিছু শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।
– *তীব্র বা জটিল ক্ষেত্রে:* *শিশু ইউরোলজিস্ট* সার্জারির মাধ্যমে (যেমন: কর্ডি রিলিজ, হাইপোস্পেডিয়াস রিপেয়ার) সংশোধন করেন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)
www.drnazmulislam.com

শিশুর হার্নিয়া শিশুর কুচকির হার্নিয়া Hernia in children

শিশুর হার্নিয়া (Hernia in children)

হার্নিয়া (Hernia)* হলো একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে পেট বা উদরের ভিতরের অঙ্গ (যেমন অন্ত্র, চর্বি ইত্যাদি) পেশী বা কোষের দুর্বল স্থান দিয়ে বেরিয়ে আসে এবং ত্বকের নিচে একটি ফোলা বা গোটা তৈরি করে। এটি সাধারণত কুচকি (Groin), নাভি (Belly button), বা অস্ত্রোপচারের দাগের কাছে দেখা যায়।

হার্নিয়ার প্রকারভেদ:

  1. ইনগুইনাল হার্নিয়া (Inguinal Hernia):
  • *সবচেয়ে সাধারণ, বিশেষত *পুরুষদের মধ্যে।
  • কুচকি বা অণ্ডকোষে ফোলা দেখা যায়।
  1. আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া (Umbilical Hernia):
  • নাভির কাছে হয়, সাধারণত নবজাতক ও শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই সেরে যায় (৫ বছর বয়সের মধ্যে)।
  1. ফিমোরাল হার্নিয়া (Femoral Hernia):
  • মহিলাদের বেশি হয়, কুচকির নিচে ফোলা দেখা যায়।
  • ইনগুইনাল হার্নিয়ার চেয়ে জটিলতা বেশি।
  1. ইনসিশনাল হার্নিয়া (Incisional Hernia):
  • পূর্বের অস্ত্রোপচারের দাগে হয়।
  1. হাইটাল হার্নিয়া (Hiatal Hernia):
  • পাকস্থলীর অংশ ডায়াফ্রামের মাধ্যমে বুকের দিকে চলে আসে।

শিশুর কুচকির হার্নিয়া (Inguinal Hernia) একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে প্রিমাচিউর বা কম ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে। এটি যখন পেটের ভিতরের অংশ (যেমন অন্ত্র) কুচকির (Groin) এলাকায় চাপের কারণে বেরিয়ে আসে, তখন একটি নরম ফোলা দেখা দেয়।

কারণ:

  • জন্মগত ত্রুটি: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, জন্মের সময় পেট ও কুচকির মধ্যকার প্রাচীর দুর্বল থাকার কারণে হয় (প্রক্রিয়াটি সাধারণত জন্মের আগে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু কিছু শিশুর তা হয় না)।
  • পুরুষ শিশুদের বেশি দেখা যায় (বিশেষত অণ্ডকোষে নামার সময়)।
  • মেয়েশিশুদেরও হতে পারে, তবে কম সাধারণ।

লক্ষণ:

  • কুচকিতে বা অণ্ডকোষে (ছেলেদের) নরম ফোলা, যা কাঁদলে বা চাপ দিলে বড় হয়, শুয়ে থাকলে ছোট হয়ে যায়।
  • ব্যথা বা অস্বস্তি (যদি হার্নিয়া আটকে যায়)।
  • বমি, খাওয়াতে অনীহা, ফোলা লাল হয়ে যাওয়া (জরুরি অবস্থা)।

ঝুঁকি:

  • ইনকারসারেশন বা স্ট্র্যাংগুলেশন (হার্নিয়া আটকে গেলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে টিস্যু নষ্ট হতে পারে) – এটি একটি জরুরি অবস্থা, দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।

চিকিৎসা:

  • অস্ত্রোপচার (হার্নিওরাফি): শিশুর হার্নিয়া সাধারণত নিজে থেকে সেরে না, তাই সার্জারি প্রয়োজন। এটি একটি রুটিন অপারেশন, সাধারণত ল্যাপারোস্কোপিক বা ওপেন পদ্ধতিতে করা হয়।
  • জরুরি অপারেশন: যদি হার্নিয়া আটকে যায় বা ব্যথা হয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

  • কুচকিতে ফোলা দেখলে।
  • শিশু অতিরিক্ত কাঁদলে, বমি করলে বা ফোলা লাল হলে।

মনে রাখবেন: শিশুর হার্নিয়া বড়দের মতো নয়, এটি সাধারণত জন্মগত এবং সময়মতো চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। বাড়িতে কোনো চাপ দেওয়া বা হার্নিয়া ব্যান্ড ব্যবহার করবেন না। দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ বা পেডিয়াট্রিক সার্জনের পরামর্শ নিন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

একটি অন্ডকোষ কেন হয়? কিভাবে হয়? অন্ডকোষ না নামলে কি সমস্যা হয়?

একটি অন্ডকোষ (Undescended testis)

“Undescended testis” এর বাংলা হলো অবনমিত অণ্ডকোষ বা অবতীর্ণ না হওয়া অণ্ডকোষ।

এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে জন্মের সময় এক বা দুটি অণ্ডকোষ ছেলে শিশুর অণ্ডথলিতে নামেনি। সাধারণত অণ্ডকোষ গর্ভাবস্থায় উদর থেকে নিচে অণ্ডথলিতে নেমে আসে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা নামতে দেরি হয় বা একেবারেই নামে না।

১. কেন হয় Undescended Testis (অবনমিত অণ্ডকোষ)?

গর্ভাবস্থায় যখন একটি ছেলে শিশু গঠিত হয়, তখন তার অণ্ডকোষ (testis) পেটের ভেতরে তৈরি হয়। জন্মের আগে, এটি পেট থেকে নেমে অণ্ডথলিতে চলে আসে। কিন্তু কিছু কারণে এটি নামতে না-ও পারে।

এর কারণগুলো হতে পারে:
• জন্মের আগে শিশু যদি অপরিপক্ক (preterm) হয়।
• হরমোনের সমস্যা।
• পেটে বা অণ্ডকোষে কোনো শারীরিক গঠনগত সমস্যা।
• পরিবারে কারো আগে এই সমস্যা থাকলে।
• মা যদি গর্ভাবস্থায় ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করে থাকেন।

২. কিভাবে হয়?
• পেটের ভেতরে তৈরি হওয়া অণ্ডকোষ একটা বিশেষ রাস্তা দিয়ে নিচে নেমে আসে অণ্ডথলিতে।
• সেই রাস্তা যদি সঠিকভাবে কাজ না করে বা হরমোনের সমস্যা থাকে, তাহলে অণ্ডকোষ নিচে নামে না।
• তখন এক বা দুই পাশে অণ্ডথলি খালি দেখা যায়।

৩. চিকিৎসা কী?

সাধারণত শিশুর জন্মের পর ৬ মাসের মধ্যে অণ্ডকোষ নিজে নিজেই নিচে নেমে আসে।

যদি না নামে, তাহলে:
• ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
• অস্ত্রোপচার (surgery) হলো সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা। এর নাম Orchiopexy।
• এই অপারেশনে অণ্ডকোষকে নিচে নামিয়ে অণ্ডথলিতে ঠিকঠাক জায়গায় বসানো হয়।
• সাধারণত এটা খুব ছোট সার্জারি, এবং বাচ্চারা দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।

অণ্ডকোষ (testis) যদি না নামে তাহলে ভবিষ্যতে কিছু সমস্যা হতে পারে। নিচে সেগুলো সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছি:

১. সন্তান হওয়ার সমস্যা (Infertility)
• অণ্ডকোষ যদি শরীরের ভেতরে থাকে, তাহলে তার তাপমাত্রা বেশি হয়।
• এতে করে শুক্রাণু (sperm) তৈরি ঠিকমতো হয় না।
• ফলে বড় হয়ে সন্তানের বাবা হতে সমস্যা হতে পারে।

২. ক্যান্সারের ঝুঁকি (Testicular Cancer)
• যাদের অণ্ডকোষ নামেনি, তাদের অণ্ডকোষে টিউমার বা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি একটু বেশি।
• তাই যত তাড়াতাড়ি ঠিক করা হয়, তত ভালো।

৩. আঘাতের ভয়
• পেটের ভেতরে বা অন্য কোথাও থাকা অণ্ডকোষ সহজে চাপে পড়ে বা আঘাত পেতে পারে।

৪. অণ্ডথলি অসমান বা ফাঁপা দেখায়
• একটি বা দুইটি অণ্ডকোষ না নামলে অণ্ডথলি (scrotum) অসমান দেখা যায়।
• এতে করে কিছু বাচ্চা লজ্জা পেতে পারে বা আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে।

৫. পেঁচিয়ে যাওয়া (Torsion)
• না নামা অণ্ডকোষ পেঁচিয়ে যেতে পারে, এতে ব্যথা ও ক্ষতি হতে পারে।

৬. হার্নিয়া (Inguinal Hernia)
• অনেক সময় যেখানে অণ্ডকোষ নামার কথা, সেই রাস্তাটা খোলা থেকে গেলে হার্নিয়াও হতে পারে।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)