হাইড্রোসিল (Hydrocele)

অন্ডকোষে কেন পানি জমে?

অন্ডকোষে পানি জমাকে হাইড্রোসিল (Hydrocele) বলা হয়। এটি সাধারণত একটি ব্যথাহীন অবস্থা, যেখানে অন্ডকোষের চারপাশে স্বচ্ছ তরল জমে এবং ফুলে যায়। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে হতে পারে।

হাইড্রোসিলের প্রধান কারণগুলো :

হাইড্রোসিল (Hydrocele) হওয়ার প্রধান কারণগুলো বয়সভেদে ভিন্ন হয়। এটি সাধারণত অন্ডকোষের চারপাশে সেরাস ফ্লুইড জমার কারণে হয়, যা ব্যথাহীন ফোলাভাব সৃষ্টি করে।

১. শিশুদের হাইড্রোসিলের কারণ:

  • প্রোসেসাস ভ্যাজাইনালিস-এর বন্ধ না হওয়া:
  • গর্ভাবস্থায় অন্ডকোষ পেটের ভিতরে থাকে এবং পরে স্ক্রোটামে নেমে আসে। এই প্রক্রিয়ায় একটি টিউনেল (প্রোসেসাস ভ্যাজাইনালিস) থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে জন্মের পর বন্ধ হয়ে যায়।
  • যদি এটি সম্পূর্ণ বন্ধ না হয়, তবে পেটের তরল স্ক্রোটামে চলে এসে হাইড্রোসিল তৈরি করে।
  • ৯০% ক্ষেত্রে এটি ১-২ বছরের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়

২. প্রাপ্তবয়স্কদের হাইড্রোসিলের কারণ:

  • আঘাত বা ইনফেকশন:
  • অন্ডকোষে আঘাত, সংক্রমণ (এপিডিডাইমাইটিস, অর্কাইটিস) বা অস্ত্রোপচারের পর তরল উৎপাদন বেড়ে গেলে।
  • অন্ডকোষ বা স্ক্রোটামের রোগ:
  • টেস্টিকুলার টিউমার, ভ্যারিকোসিল বা হার্নিয়ার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
  • ফাইলেরিয়াসিস বা অন্যান্য পরজীবী সংক্রমণে লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ বাধাগ্রস্ত হলে।
  • অজানা কারণ (Idiopathic):
  • অনেক ক্ষেত্রে সঠিক কারণ জানা যায় না, বিশেষত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে।

ঝুঁকির факরগুলো:

  • বাচ্চাদের মধ্যে: প্রিম্যাচিউর বেবি বা কম ওজনের শিশুদের বেশি দেখা যায়।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে:
  • স্ক্রোটাল ইনজুরি বা সার্জারি।
  • যৌনবাহিত সংক্রমণ (STI) বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।
  • ট্রপিক্যাল দেশে ফাইলেরিয়াসিসের সংস্পর্শ।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

  • ফোলা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে বা ব্যথা হলে।
  • স্ক্রোটাম লাল, গরম বা জ্বর আসলে (সংক্রমণের লক্ষণ)।
  • অন্ডকোষ শক্ত বা ভারী মনে হলে (টিউমার রুল আউট করার জন্য)।

হাইড্রোসিল সাধারণত *বিপজ্জনক নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বস্তিকর হলে *সার্জারি (Hydrocelectomy) প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক ডায়াগনোসিসের জন্য শিশু ইউরোলজিস্ট-এর শরণাপন্ন হোন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511

বাঁকা লিঙ্গ (Penile Curvature বা Curved Penis)

বাঁকা লিঙ্গ (Penile Curvature বা Curved Penis)

বাঁকা লিঙ্গ (Penile Curvature বা Curved Penis)* বলতে লিঙ্গের স্বাভাবিক সোজা আকৃতির পরিবর্তে এক বা একাধিক দিকে (উপর, নিচ, ডান বা বামে) বেঁকে যাওয়াকে বোঝায়। এটি ইরেকশন (শিশ্নোত্থান) এর সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে।

বাঁকা লিঙ্গের প্রকারভেদ:

  1. জন্মগত বাঁকা লিঙ্গ (Congenital Curvature):
  • জন্ম থেকেই উপস্থিত, সাধারণত কর্ডি (Chordee) বা হাইপোস্পেডিয়াস (Hypospadias) এর সাথে সম্পর্কিত।
  • ইরেকশনে বাঁকা হয়, কিন্তু সাধারণত ব্যথা থাকে না।
  1. অর্জিত বাঁকা লিঙ্গ (Acquired Curvature):
  • পেয়রোনি রোগ (Peyronie’s Disease) প্রধান কারণ, যেখানে লিঙ্গের ভেতরে অস্বাভাবিক ফাইব্রোস টিস্যু (স্কার টিস্যু) জমে।
  • ইরেকশনে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।
  • আঘাত, বারবার মাইক্রোট্রমা বা বয়সের সাথে সম্পর্কিত।

বাঁকা লিঙ্গের দিক:

  • ডরসাল কার্ভ (উপরের দিকে বাঁকা)
  • ভেন্ট্রাল কার্ভ (নিচের দিকে বাঁকা)
  • ল্যাটারাল কার্ভ (ডান বা বামে বাঁকা)

*কারণ:*

শিশুদের লিঙ্গে বাঁকা ভাব (Congenital Penile Curvature বা Chordee) দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত *জন্মগত ত্রুটি* বা বিকাশগত সমস্যার কারণে হয়। এর প্রধান কারণগুলো নিম্নরূপ:

### ১. *জন্মগত বাঁকা লিঙ্গ (Congenital Penile Curvature)*
– কিছু শিশুর *জন্ম থেকেই* লিঙ্গের গঠনগত ত্রুটি থাকে, যেখানে লিঙ্গের নিচের দিকের চামড়া বা টিস্যু স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট বা টাইট হয়ে বাঁকা ভাব তৈরি করে।
– এটি *হাইপোস্পেডিয়াস (Hypospadias)* নামক অবস্থার সাথে যুক্ত হতে পারে (যেখানে মূত্রনালীর মুখ স্বাভাবিক স্থানের বদলে নিচে থাকে)।

### ২. *কর্ডি (Chordee)*
– এটি একটি জন্মগত সমস্যা, যেখানে লিঙ্গের নিচে টিস্যু বা তন্তু (ফাইব্রাস টিস্যু) টানটান হয়ে বাঁকা করে দেয়।
– কর্ডি *হাইপোস্পেডিয়াস ছাড়াও* স্বতন্ত্রভাবে হতে পারে।

### ৩. *টিস্যু বা পেশীর অস্বাভাবিক বিকাশ*
– লিঙ্গের একপাশের টিস্যু বা কর্পোরা ক্যাভারনোসা (ইরেক্টাইল টিস্যু) ঠিক মতো বিকাশ না হলে বাঁকা ভাব দেখা দিতে পারে।

৪. *স্কার টিস্যু বা আঘাত (দুর্লভ ক্ষেত্রে)*
– জন্মের সময় বা পরে কোনো আঘাতের কারণে লিঙ্গে স্কার টিস্যু জমে বাঁকা হতে পারে (তবে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল)।

*কখন চিকিৎসা প্রয়োজন?*
– যদি বাঁকা ভাব *এতটাই বেশি হয় যে প্রস্রাবের প্রবাহে সমস্যা হয়*।
– যদি বাচ্চার *ইরেকশন (শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ঘটনা) এর সময় ব্যথা বা অস্বস্তি হয়*।
– হাইপোস্পেডিয়াস বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ত্রুটি থাকলে।

### *চিকিৎসা পদ্ধতি*
– *হালকা ক্ষেত্রে:* পর্যবেক্ষণ করা হয়, কারণ কিছু শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।
– *তীব্র বা জটিল ক্ষেত্রে:* *শিশু ইউরোলজিস্ট* সার্জারির মাধ্যমে (যেমন: কর্ডি রিলিজ, হাইপোস্পেডিয়াস রিপেয়ার) সংশোধন করেন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
শিশু সার্জারী ও শিশু ইউরোলোজি বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)
www.drnazmulislam.com

শিশুর হার্নিয়া শিশুর কুচকির হার্নিয়া Hernia in children

শিশুর হার্নিয়া (Hernia in children)

হার্নিয়া (Hernia)* হলো একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে পেট বা উদরের ভিতরের অঙ্গ (যেমন অন্ত্র, চর্বি ইত্যাদি) পেশী বা কোষের দুর্বল স্থান দিয়ে বেরিয়ে আসে এবং ত্বকের নিচে একটি ফোলা বা গোটা তৈরি করে। এটি সাধারণত কুচকি (Groin), নাভি (Belly button), বা অস্ত্রোপচারের দাগের কাছে দেখা যায়।

হার্নিয়ার প্রকারভেদ:

  1. ইনগুইনাল হার্নিয়া (Inguinal Hernia):
  • *সবচেয়ে সাধারণ, বিশেষত *পুরুষদের মধ্যে।
  • কুচকি বা অণ্ডকোষে ফোলা দেখা যায়।
  1. আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া (Umbilical Hernia):
  • নাভির কাছে হয়, সাধারণত নবজাতক ও শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই সেরে যায় (৫ বছর বয়সের মধ্যে)।
  1. ফিমোরাল হার্নিয়া (Femoral Hernia):
  • মহিলাদের বেশি হয়, কুচকির নিচে ফোলা দেখা যায়।
  • ইনগুইনাল হার্নিয়ার চেয়ে জটিলতা বেশি।
  1. ইনসিশনাল হার্নিয়া (Incisional Hernia):
  • পূর্বের অস্ত্রোপচারের দাগে হয়।
  1. হাইটাল হার্নিয়া (Hiatal Hernia):
  • পাকস্থলীর অংশ ডায়াফ্রামের মাধ্যমে বুকের দিকে চলে আসে।

শিশুর কুচকির হার্নিয়া (Inguinal Hernia) একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে প্রিমাচিউর বা কম ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে। এটি যখন পেটের ভিতরের অংশ (যেমন অন্ত্র) কুচকির (Groin) এলাকায় চাপের কারণে বেরিয়ে আসে, তখন একটি নরম ফোলা দেখা দেয়।

কারণ:

  • জন্মগত ত্রুটি: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, জন্মের সময় পেট ও কুচকির মধ্যকার প্রাচীর দুর্বল থাকার কারণে হয় (প্রক্রিয়াটি সাধারণত জন্মের আগে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু কিছু শিশুর তা হয় না)।
  • পুরুষ শিশুদের বেশি দেখা যায় (বিশেষত অণ্ডকোষে নামার সময়)।
  • মেয়েশিশুদেরও হতে পারে, তবে কম সাধারণ।

লক্ষণ:

  • কুচকিতে বা অণ্ডকোষে (ছেলেদের) নরম ফোলা, যা কাঁদলে বা চাপ দিলে বড় হয়, শুয়ে থাকলে ছোট হয়ে যায়।
  • ব্যথা বা অস্বস্তি (যদি হার্নিয়া আটকে যায়)।
  • বমি, খাওয়াতে অনীহা, ফোলা লাল হয়ে যাওয়া (জরুরি অবস্থা)।

ঝুঁকি:

  • ইনকারসারেশন বা স্ট্র্যাংগুলেশন (হার্নিয়া আটকে গেলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে টিস্যু নষ্ট হতে পারে) – এটি একটি জরুরি অবস্থা, দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।

চিকিৎসা:

  • অস্ত্রোপচার (হার্নিওরাফি): শিশুর হার্নিয়া সাধারণত নিজে থেকে সেরে না, তাই সার্জারি প্রয়োজন। এটি একটি রুটিন অপারেশন, সাধারণত ল্যাপারোস্কোপিক বা ওপেন পদ্ধতিতে করা হয়।
  • জরুরি অপারেশন: যদি হার্নিয়া আটকে যায় বা ব্যথা হয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

  • কুচকিতে ফোলা দেখলে।
  • শিশু অতিরিক্ত কাঁদলে, বমি করলে বা ফোলা লাল হলে।

মনে রাখবেন: শিশুর হার্নিয়া বড়দের মতো নয়, এটি সাধারণত জন্মগত এবং সময়মতো চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। বাড়িতে কোনো চাপ দেওয়া বা হার্নিয়া ব্যান্ড ব্যবহার করবেন না। দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ বা পেডিয়াট্রিক সার্জনের পরামর্শ নিন।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)

একটি অন্ডকোষ কেন হয়? কিভাবে হয়? অন্ডকোষ না নামলে কি সমস্যা হয়?

একটি অন্ডকোষ (Undescended testis)

“Undescended testis” এর বাংলা হলো অবনমিত অণ্ডকোষ বা অবতীর্ণ না হওয়া অণ্ডকোষ।

এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে জন্মের সময় এক বা দুটি অণ্ডকোষ ছেলে শিশুর অণ্ডথলিতে নামেনি। সাধারণত অণ্ডকোষ গর্ভাবস্থায় উদর থেকে নিচে অণ্ডথলিতে নেমে আসে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা নামতে দেরি হয় বা একেবারেই নামে না।

১. কেন হয় Undescended Testis (অবনমিত অণ্ডকোষ)?

গর্ভাবস্থায় যখন একটি ছেলে শিশু গঠিত হয়, তখন তার অণ্ডকোষ (testis) পেটের ভেতরে তৈরি হয়। জন্মের আগে, এটি পেট থেকে নেমে অণ্ডথলিতে চলে আসে। কিন্তু কিছু কারণে এটি নামতে না-ও পারে।

এর কারণগুলো হতে পারে:
• জন্মের আগে শিশু যদি অপরিপক্ক (preterm) হয়।
• হরমোনের সমস্যা।
• পেটে বা অণ্ডকোষে কোনো শারীরিক গঠনগত সমস্যা।
• পরিবারে কারো আগে এই সমস্যা থাকলে।
• মা যদি গর্ভাবস্থায় ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করে থাকেন।

২. কিভাবে হয়?
• পেটের ভেতরে তৈরি হওয়া অণ্ডকোষ একটা বিশেষ রাস্তা দিয়ে নিচে নেমে আসে অণ্ডথলিতে।
• সেই রাস্তা যদি সঠিকভাবে কাজ না করে বা হরমোনের সমস্যা থাকে, তাহলে অণ্ডকোষ নিচে নামে না।
• তখন এক বা দুই পাশে অণ্ডথলি খালি দেখা যায়।

৩. চিকিৎসা কী?

সাধারণত শিশুর জন্মের পর ৬ মাসের মধ্যে অণ্ডকোষ নিজে নিজেই নিচে নেমে আসে।

যদি না নামে, তাহলে:
• ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
• অস্ত্রোপচার (surgery) হলো সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা। এর নাম Orchiopexy।
• এই অপারেশনে অণ্ডকোষকে নিচে নামিয়ে অণ্ডথলিতে ঠিকঠাক জায়গায় বসানো হয়।
• সাধারণত এটা খুব ছোট সার্জারি, এবং বাচ্চারা দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।

অণ্ডকোষ (testis) যদি না নামে তাহলে ভবিষ্যতে কিছু সমস্যা হতে পারে। নিচে সেগুলো সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছি:

১. সন্তান হওয়ার সমস্যা (Infertility)
• অণ্ডকোষ যদি শরীরের ভেতরে থাকে, তাহলে তার তাপমাত্রা বেশি হয়।
• এতে করে শুক্রাণু (sperm) তৈরি ঠিকমতো হয় না।
• ফলে বড় হয়ে সন্তানের বাবা হতে সমস্যা হতে পারে।

২. ক্যান্সারের ঝুঁকি (Testicular Cancer)
• যাদের অণ্ডকোষ নামেনি, তাদের অণ্ডকোষে টিউমার বা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি একটু বেশি।
• তাই যত তাড়াতাড়ি ঠিক করা হয়, তত ভালো।

৩. আঘাতের ভয়
• পেটের ভেতরে বা অন্য কোথাও থাকা অণ্ডকোষ সহজে চাপে পড়ে বা আঘাত পেতে পারে।

৪. অণ্ডথলি অসমান বা ফাঁপা দেখায়
• একটি বা দুইটি অণ্ডকোষ না নামলে অণ্ডথলি (scrotum) অসমান দেখা যায়।
• এতে করে কিছু বাচ্চা লজ্জা পেতে পারে বা আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে।

৫. পেঁচিয়ে যাওয়া (Torsion)
• না নামা অণ্ডকোষ পেঁচিয়ে যেতে পারে, এতে ব্যথা ও ক্ষতি হতে পারে।

৬. হার্নিয়া (Inguinal Hernia)
• অনেক সময় যেখানে অণ্ডকোষ নামার কথা, সেই রাস্তাটা খোলা থেকে গেলে হার্নিয়াও হতে পারে।

ডাঃ এস, এম, নাজমুল ইসলাম
এমবিবিএস,  এমএস( শিশু সার্জারী)
মেম্বার হাইপোসপেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি
পেডিয়েট্রিক ইউরোলজি ট্রেনিং(ইন্ডিয়া)
ইউরোলজি ট্রেনিং (BSMMU)
নবজাতক, শিশু-কিশোর সার্জারী বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট।
Hotline: 01777331511
www.drnazmulislam.com

চেম্বারঃ
অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড
২৪/৩ খিলজী রোড (রিং রোড)
শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭
রুগি দেখার সময়ঃ বিকাল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৭: ০০টা।
(শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন)